বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:: টিসিবি খোলা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা নির্ধারণে করে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ এলাকায় বিক্রির আয়োজন করলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের মধ্যে পেঁয়াজ কেনার ধুম পড়ে। রোববার সকাল থেকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্যনীয় ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে দীর্ঘ লম্বা দুই লাইনে দাড়িয়ে টিসিবির পেঁয়াজ কিনেছেন ক্রেতারা।
সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানুষের ঢল নামে ৪৫ টাকা দরে টিসিবির পেঁয়াজ কেনার জন্য। ডিলার ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। প্রথক দিকে পেঁয়াজ কিনার জন্য কাড়াকাড়ি শুরু হয়। প্রথম দিকে ক্রেতারদের সামাল দিতে পুলিশকে হিমহিম খেতে হয়। তবে কিছুক্ষণ পর পুলিশের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ন পরিবেশে পেঁয়াজ কিনে বাড়ি ফিরেছেন ক্রেতারা। টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে আসা নিকেশ বৈদ্য জানান, বাজারে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সরকারিভাবে টিসিবির পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি হবে শুনে এসে দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থেকে অবশেষে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। কষ্ট হলেও ৪৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে পেরে ভালো লাগছে।
সুলতান মিয়া নামে আরেকজন ক্রেতা জানান, বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। টিসিবির পেঁয়াজ কম দামে কিনেছি। এজন্য খুশি লাগছে। তিনি জানান, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের দাবি টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি দীর্ঘ মেয়াদি করা হোক। এতে মানুষ উপকৃত হবে।
টিসিবির ডিলার ধনেষ রায় জানান, আজ থেকে জগন্নাথপুরে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। আমরা তিনদিনের জন্য তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ পেয়েছি। আজকে এক টন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কাল সোমবার রানীগঞ্জ বাজারে এক টন এবং আগামী মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে আরো এক টন পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখনো অস্থিতিশীল। টিসিবির পেঁয়াজের চাহিদা মানুষের খুবই বেশি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টিসিবির পেঁয়াজ কিনেছেন। টিসিবির পেঁয়াজ আরো বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্ঠা করব।
Leave a Reply